সিনেমার পরিচালক ও নায়িকার প্রেম নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানও প্রেমে পড়েছিলেন নায়িকা সুচন্দার। ১৯৬৭ সালে বিয়েও করেছিলেন তারা। তবে হালের ‘তুফান’ নির্মাতা রায়হান রাফির আর বিয়ে করা হল না নায়িকা তমা মির্জাকে। এমনকি এই নির্মাতার সঙ্গে আর কাজও করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নায়িকা।
নির্মাতা রায়হান রাফি ও তমা মির্জার প্রেমের খবর প্রায় সবারই জানা। এমনকি তাদের প্রেম ভেঙে যাওয়ার খবরও ছড়িয়ে পড়েছে চৌদিকে। দেশ ছাড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও সে খবর প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ঢালিউডের ভেতরবাড়ির লোকেদের একাংশ অবশ্য বলছে, গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলোতে তমাকে না নেওয়ায় অভিমান করেছেন নায়িকা। অন্যদিকে জানাশোনা আছে এমন লোকেরা বলছে, প্রেম ভেঙে যাওয়া প্রেমে পড়ার মতোই সহজ-স্বাভাবিক ঘটনা। সত্যিই কি প্রেম ছিল তাদের? সত্যিই কি সেটা ভেঙেও গেছে?
এখন পর্যন্ত প্রেমের কথা স্বীকার করেননি রাফি বা তমা। কেবল জানিয়েছেন, দুজনার মধ্যে একটা গভীর বন্ধুত্ব আছে। দেশের এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাফি বলেছেন, ‘দুজনার মধ্যে বন্ধুত্বটা আছে আগের মতোই। তবে আমাদের নিয়ে যে “গুঞ্জনটা” রয়েছে, সেটা আসলে নেই।’ প্রেমের গুঞ্জনটা নেই, তার মানে কি ‘প্রেম’টাও নেই, সে কথা স্পষ্ট করে বলেননি এই নির্মাতা। অন্যদিকে প্রেম প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে তমা বলেছেন, ‘এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই আমার কাছে।’ আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে অবশ্য ব্যতিক্রম জবাব দিয়েছেন তমা। গণমাধ্যমটি তার কাছে জানতে চেয়েছে, রায়হান রাফি একাধিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব আছে। জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে তমা বলেন, ‘ভালোবাসা না থাকলে কি বন্ধুত্ব থাকে? নাকি নতুন করে বন্ধুত্ব হতে পারে? সত্যিই আমার জানা নেই।’
প্রেম থাকুক বা না থাকুক, পরিচালক রাফির সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় তমার কাছে। জবাবে তমা বলেন, ‘আমি পেশাদার শিল্পী। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে কাজ করেছি। তবে মায়ের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কাজ করতাম না। একইভাবে, ভালোবাসা মুছে গেলে সেই মানুষটির সঙ্গে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যেতেও পারব না। আমি অবশ্যই পেশাদার অভিনেত্রী, কিন্তু এতটা পেশাদার নই।’
‘অচিন পাখি’ ওয়েব ফিল্মের মাধ্যমে পরিচয় রাফি ও তমার। ‘৭ নম্বর ফ্লোর’-এর সেটে ঘনিষ্ঠ হন তারা। তৃতীয় ছবি ‘সুড়ঙ্গ’র সাফল্য ও প্রেম একই সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে দুজনকে।
ভারতীয় ওই পোর্টালকে তমা জানিয়েছেন, বন্ধুত্ব শব্দটির পরিধি অনেক। সেখানেও সীমারেখা থাকে। বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা হতে পারে। কিন্তু সেই ভালোবাসায় চিড় ধরলে বন্ধুত্ব থাকে না। সেক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই যথেষ্ট পরিণত হতে হয়, সময় দিতে হয়। আপাতত নিজেকে সময় দিচ্ছেন তমা।
আপাতত ‘বঙ্গ’র একটি ওয়েব সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাফি। তার দ্বিতীয় কাজটি ছিল তমাকে নিয়ে। বেশ আগেই ওই কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ছিলেন তমা। কাজটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাফির হাতে থাকা তৃতীয় কাজ ঈদুল আজহার ছবি ‘তুফান-২’। কাস্টিং ভেঙে এতে তমার নাম ঢুকে পড়লে অবশ্য তাদের প্রেম নিয়ে নতুন খবর দেওয়া যাবে।