
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৯ মে) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রান করে টাইগাররা। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট আসে দারুণ এক হাফ-সেঞ্চুরি। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৫ রান।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিলো মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো চাপ নিতে নারাজ টাইগাররা। তাইতো শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালো পায় সফরকারীরা।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৯০ রান। ৩৩ বলে ৫৯ রান করা তানজিদ ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাদের জুটি খুব বেশি লম্বা হয়নি।
৩২ বলে ৪০ রান করে জাওয়াদুল্লাহ’র বলে সাঘির খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক লিটন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত’র নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জাকের আলীকে নিয়ে খেলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় আউট হন হৃদয়। সাঘির খানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
জাকের আলী আউট হন ৬ বলে ১৮ রান করে। শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটওয়ারী অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ৬ রানে। অপর প্রান্তে ২ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ হোসেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫হ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ। সাঘির খান নেন দুই উইকেট।
আগের ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গত শনিবার (১৭ মে) একই স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে ১৯১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে স্বাগতিকরা।
এর আগে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৫৪ বলে ৫ চার ও ৯ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তামিম ইকবালের পর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান তিনি।