কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত বন বিভাগের ১৯ কর্মীর মধ্যে ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় অপহরণে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে।একইসঙ্গে শনাক্ত করা হয়েছে অপহরণ চক্রটি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত গহীন পাহাড়ে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যার দিকে পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
উদ্ধার হওয়া বনকর্মীরা হলেন ফরেস্টার সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্লাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১), সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০), সফি উল্লাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজারে র্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে লেদার পশ্চিমের গহীন পাহাড় থেকে স্থানীয় জনতা, বনবিভাগের সহায়তায় র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা একটি আস্তানা থেকে বন বিভাগের ১৮ শ্রমিককে উদ্ধার করেন। এর আগে অপহরণকারীরা জনপ্রতি এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
বন কর্মীদের উদ্ধার করার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে অপহৃত অপর নয়জনকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়কেন্দ্রিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ওই নয়জনকে অপহরণ করে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং থেকে শামলাপুর যাওয়ার পথে দু’টি অটোরিকশার চালকসহ আটজনকে অপহরণ করা হয়। তার আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার থেকে অপহরণ করা হয় আরও একজনকে।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানান, হোয়াইক্যং- শামলাপুর সড়কে দুটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে চালকসহ যাত্রী অপহরণের ঘটনা শুনে অভিযান চালানো হচ্ছে। কতজন অপহরণ হয়েছে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। সিএনজি দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে।