
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বেপরোয়াগতির দুই মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে মারা যান সামাউল ইসলাম (১৯)।
তিনি মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। এর আগে ঘটনাস্থলেই নিহত দুজন হলেন, বিধান কুমার রায় (১৭) ও রাজারাম বাবু। নিহত বিধান কুমার রায় কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মুংলা রায়ের ছেলে এবং রাজারাম বাবু একই গ্রামের বাদল রায়ের ছেলে।
আহতরা হলেন, কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে সাজু (২৩), কুলবাগান গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে হোসাইন (১৯) ও একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে সিয়াম (১৮)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের মহেশপুরের ফতেপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন এবং চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে সামাউল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টায় মহেশপুরে ফতেপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল ইসলাম মন্টু জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামাউল মারা গেছেন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. গোলাম হায়দার বলেন, ‘মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি এবং দাফন-কাফনের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের প্রধান সড়কের ওপর দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপা দেয়। এতে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকলে আরোহী দুই যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন চারজন, যাদেরকে কোঁটচাদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।