জার্মানিতে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনের আতশবাজিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। নানা ঘটনায় রাজধানী বার্লিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৯০ জনকে। হামলা হয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর।
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের গেসেকে শহরের উপকণ্ঠে মারা গেছেন একজন। ২৪ বছর বয়সী এই যুবকের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। লাইপজিগের পূর্বে ওসচাটজে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। হামবুর্গ শহরে নিজের তৈরি আতশবাজি বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। ব্রান্ডেনবুর্গরাজ্যে উত্তরের ওবারহাভেল জেলায় দুর্ঘটনায় মারা গেছেন একজন। চেমনিটজের শহরের কাছে হার্থায় মারা গেছেন ৫০ বছর বয়সী একজন।
পুলিশের বরাতে ফ্রাঙ্কফুইটার রুন্ডসু, ফ্রাঙ্কফুইটার আলগেমাইনে জাইটুং, ডের স্পিগেল সংবাদমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
জার্মানিতে নববর্ষের আগের দিনটি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জার্মানির নানা শহরে নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলেছে, বার্লিন শহরে ৩৯০ জনের পাশাপাশি অন্যান্য শহরেও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বার্লিন শহর প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাবমতে, ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এই আহত পুলিশ সদস্যের দিকে জ্বলন্ত আতশবাজি ছোড়া হয়েছিল। রাতেই তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধারকর্মীদের ওপর আতশবাজি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
লাইপজিগ শহরে প্রায় ৫০ জন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি আতশবাজি ও বোতল দিয়ে পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করে। কিল শহরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ৭০ থেকে ৮০ জন ব্যক্তি জরুরি চিকিৎসা নিয়েছেন।
কোলন শহরেও আতশবাজিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। সেখানেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের লক্ষ্য করে আতশবাজি ছোড়া হয়েছে।
এমডিআর সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাইমার শহরে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। গেলসেনকির্চেন ও ড্রেসডেন শহরে অগ্নিনির্বাপক এবং উদ্ধারকারী পরিষেবা কর্মচারীদের দিকে আতশবাজি ছোড়া হয়েছে। বোখম, হার্নে ও ভিটেনে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১২ ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বন শহরে প্রধান রেলস্টেশনে কয়েকজন যুবক একজন ঘুমন্ত গৃহহীন ব্যক্তির ওপর আতশবাজি ছুড়েছে। হামলাকারীরা নিজেরাই মোবাইল ফোন দিয়ে হামলার চিত্র ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ওই গৃহহীন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মিউনিখ শহরে কয়েক শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভিটেলসবাচার ব্রিজে বাম ঘরানার প্রায় ৩০০ লোক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন।