জয়পুরহাট সদর ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার। তবে দলটির একাংশের নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পাশ কাটিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন এই সম্মেলনের আয়োজন করছেন। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা মশালমিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
এ ছাড়া শহর বিএনপির আহ্বায়ক মতিয়র রহমান গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই সম্মেলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে বিএনপির বৃহৎ একটি অংশকে পাশ কাটিয়ে ১ নভেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলা ও পৌর শাখার সম্মেলন করতে যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সম্মেলন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা সেই আহ্বান উপেক্ষা করে শহরের এক কোনায় তথাকথিত সম্মেলন করতে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ও সন্ধ্যায় শহরের নতুনহাটে মশালমিছিল এবং ১ নভেম্বর সকাল নয়টায় নতুনহাট মসজিদ চত্বরে সম্মেলন এবং সরদারপাড়া শিশুশিক্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাউন্সিলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল সকালে জয়পুরহাট সদর ও পৌর শাখার সম্মেলন শহরের নতুনহাটে গোহাটীতে অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে স্বেচ্চারিতার অভিযোগ তুলে মশালমিছিল করেন। মিছিলটি শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দান থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্ট পাঁচুর মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহর বিএনপির আহ্বায়ক মতিয়র রহমান প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহর বিএনপির আহ্বায়ক মতিয়র রহমান বলেন, ‘জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা আমাদের বাদ রেখে দলের সদর উপজেলা ও পৌর শাখার সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। তাঁদের অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করে পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটিতে আনতে চাইছেন। আমরা সবার অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সম্মেলন চাই। এ জন্য সম্মেলন প্রতিহত করা হবে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন বলেন, ‘দলের একটি পক্ষ নেতা-কর্মীরা সম্মেলন বানচালের চেষ্টা করছেন। যদি নিয়মবর্হিভূতভাবে সম্মেলনের আয়োজন করা হতো, তাহলে স্বেচ্ছাচারিতা হতো। সব নিয়ম মেনেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সবাই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করছেন, তাঁরাই স্বেচ্ছাচারী।’
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ১ নভেম্বর শহরের নতুনহাট এলাকায় বিএনপির সম্মেলন হবে। এ বিষয়ে দুটি পক্ষ অবগতিপত্র দিয়ে সম্মেলনের কথা জানিয়েছে।