
গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। ভোররাত থেকে চালানো এ হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসার্মীরা।
এর মধ্যে কেবল উত্তর গাজাতেই ভারি বোমাবর্ষণে অন্তত ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
বিবিসি বলছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর এবং শরণার্থী শিবিরে হামলা হয়েছে। সেখানকার ইন্দোনেশীয় হাসপাতাল জানায়, নিহতদের মধ্যে আছে ২২ জন শিশু ও ১৫ জন নারী।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে হামলাস্থলের মেঝেতে লাশের স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর এ হামলার খবর খতিয়ে দেখছে। মঙ্গলবার রাতে হামলা চালানোর আগে জাবালিয়াসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে অধিবাসীদের সতর্ক করা হয়েছিল বলেও তারা দাবি করেছে।
ফিলিস্তিনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরাইলে রকেট হামলা চালানোর জবাবে উত্তর গাজায় এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেরকে গাজায় ‘গণহত্যা ঠেকাতে’ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানোর পর ইসরাইল এ হামলা চালাল।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একটি বৈঠকে টম ফ্লেচার ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় সাধারণ মানুষজনদের জন্য ইচ্ছাকৃত এবং নির্লজ্জভাবে অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন।
তিনি ইসরাইলকে গাজায় ১০ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখভালের যে পরিকল্পনা করেছে তার সমালোচনা করেন ফ্লেচার।
রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাজ্যও গাজায় ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্রের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে অবরোধ তুলে নেওয়ার ডাক দিয়েছে।
তবে জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে বিদেশি ত্রাণ কার্যক্রমকে কাজে লাগানো হচ্ছে।