
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতিতে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা সংক্রান্ত রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে এতে সসন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। তারা রায় এবং এ সংক্রান্ত মামলা পুরোপুরি বাতিল চান।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় জাগো নিউজকে এ কথা জানান কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিনিধি জোবায়ের পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, এ মামলাটা দীর্ঘদিনের। কখনো স্থগিত হয়, আবার পুনরুজ্জীবিত করা হয়। আগামী ১৮ মে আবার শুনানি হবে। সেখানে আবার ৩০ শতাংশ কোটা যে ফিরিয়ে আনা হবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। সেজন্য আমরা এ সংক্রান্ত মামলাটাই পুরোপুরি বাতিল চাই। পাশাপাশি আমাদের বাকি দাবিগুলোও পূরণে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই।
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে সরকার চাইলে আমাদের দাবিগুলো অনায়াসে মেনে নিতে পারে। কিন্তু তা না করে নানান টালবাহানা করা হচ্ছে। আমরা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর সম্মিলিত সিদ্ধান্তে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
এদিকে, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টেও একই কথক জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় স্থগিত নয়, বাতিল করতে হবে। আমরা অনতিবিলম্বে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।