ভায়াদোলিদ ০ : ৩ রিয়াল মাদ্রিদ
লাস পালমাসের বিপক্ষে লিগে রিয়াল মাদ্রিদের ঠিক আগের ম্যাচেই তিনি জোড়া গোল করেছিলেন। এর আগে গোল পেয়েছেন কোপা দেল রেতে সেলতা ভিগোর বিপক্ষে, এবং পরে চ্যাম্পিয়নস লিগে সালজবুর্গের বিপক্ষেও। কিন্তু এক-দুই গোল করে যেন আর মন ভরছিল না কিলিয়ান এমবাপ্পের। এবার তাই একেবারে হ্যাটট্রিক! রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে যা ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রথম হ্যাটট্রিকও বটে! শনিবার রাতে হোসে জোরিয়া স্টেডিয়ামে এমবাপ্পের এই হ্যাটট্রিকেই লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আগেই ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল, এই জয়ে দুই নম্বরে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এগিয়ে গেল ৪ পয়েন্টে। ২১টি করে ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৯, আতলেতিকোর ৪৫।
লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি রিয়ালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ও বড় তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অভাব বুঝতেই দেননি এমবাপ্পে। যদিও ম্যাচের প্রথম আধ ঘন্টার মধ্যেই দুইবার রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার বড় পরীক্ষা নেয় ভায়াদোলিদ। তবে সেই পরীক্ষায় কোর্তোয়া উৎরে যান সাফল্যের সঙ্গেই। ৩০ মিনিটে জুড বেলিংহামের পাস থেকে ‘ডেডলক’ ভাঙেন এমবাপ্পে, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
এরপর যত সময় গড়াতে থাকে, ভায়াদোলিদকে চেপে ধরতে থাকে রিয়াল। যদিও পরের গোলটার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৫৭ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি আক্রমণে ভায়াদোলিদের বক্সে ঢুকে যাওয়া রদ্রিগো নিজে শট না নিয়ে বল বাড়ান এমবাপ্পের দিকে। ভুল করেননি এমবাপ্পে, ২-০। হ্যাটট্রিকটা হয়ে যেত ম্যাচের ৬৭ মিনিটেই। তবে বেলিংহামের পাস থেকে বল পেয়ে শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপ্পে।
সেই হ্যাটট্রিক অবশেষে হলো ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে। বেলিংহামকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ভায়াদোলিদের মারিও মার্তিন, যিনি রিয়াল থেকেই ধারে গিয়ে খেলছেন ভায়াদোলিদে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। চলতি মৌসুমে লিগে নিজের ১৫তম গোলটা করেন এমবাপ্পে। রিয়ালের জার্সিতে লা লিগায় ১৯ নম্বর ম্যাচে এসে ফরাসি ফরোয়ার্ড পেয়েছেন তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। আর সেই হ্যাটট্রিক আরও বিশেষ হয়ে ওঠল রিয়ালের দুর্দান্ত এক জয়ে।