
আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেইথ সিয়েগেল, ওফেল কালদেরন এবং ইয়ারদেন বিবাস নামের ওই তিন জিম্মিকে দক্ষিণ ও উত্তর গাজার দুটি পৃথক স্থান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি জানিয়েছে, গাজায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ ইসরায়েলি কারাগার থেকে আরও ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন এমন ৫০ ফিলিস্তিনিকে গাজা ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অইয়ারদেন বিবাসকেও খুব দ্রুত তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানো হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া অপর জিম্মিকেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওফেল কালদেরন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে উঠেছে। তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন।
ইয়ারদেন বিবাসকেও খুব দ্রুত তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানো হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া অপর জিম্মিকেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৭ হাজার ৪৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।