
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এক মাসে রেকর্ড সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এতে, বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও বেড়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক।
লন্ডনের ২০৯টি স্থানে অভিযান চালিয়ে গত জানুয়ারিতে ১৪২ জনকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম।
২০২৪ সালের একই সময়ে এমন অভিযানে গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা ছিলো ৮৩। গত ১০ ফেব্রুয়ারি অবৈধ অভিবাসী ধরপাকড় বৃদ্ধির এমন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ হোম অফিস।
হোম অফিসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যজুড়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬০৯ জনে। এর আগে যা ছিলো ৩৫২।
হঠাৎ করেই অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতারে যুক্তরাজ্য সরকারের কঠোর অবস্থানকে নানাভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আগে অভিবাসী ধরতে সাধারণত রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালানো হতো। এবার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সেলুন, সুপারমার্কেট, কার ওয়াশের মতো স্থানগুলো।
এতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেড়েছে আতংক। তাই অভিবাসীদের বসবাসের প্রক্রিয়া নিয়মিতকরণে পরমর্শ দিচ্ছেন আইনজীবীরা।
২০২৪ সালের ৫ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৫ হাজার ৪২৫টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩ হাজার ৯৩০জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। এই সময়ে অবৈধ কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানের পরিমাণ আগের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালের পর এবারই সর্বোচ্চ অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠায় ব্রিটিশ সরকার। যেখানে চার্টার ফ্লাইট ভাড়া করে পাঠানো হয় ৮৫০ জনকে।
ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসন প্রশ্নে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন লেবার সরকার।