সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীদের তুলে নিয়ে যাওয়া ৬ মেইতেই জাতিগোষ্ঠির সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে আসাম পুলিশ।
মেইতেইদের দাবি, সশস্ত্র কুকি-মার বাহিনী ত্রাণশিবির থেকে এই ছ’জনকে অপহরণ করেছিল।
উদ্ধার করা লাশের মধ্যে একটি আট মাস বয়সী নবজাতকও রয়েছে। তিনজন মহিলা এবং তিন শিশুকে জিম্মি করার পাঁচ দিন পর শনিবার সকালে জিরি নদীতে পুলিশ ছয়টি মরদেহ খুঁজে পায়।
গত ১০ নভেম্বর রাতে জিরিবামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইউএনএলএফের যৌথ হামলায় মার জনজাতির এক মহিলা নিহত হওয়ার পরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। ওই ঘটনার জবাবে মার-কুকি বাহিনী মেইতেইদের বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান জ্বালিয়ে দেয়। পুড়িয়ে মারা হয় দু’জনকে মেইতেই গ্রামবাসীকে। হামলা হয় থানায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরেও হামলা চালানো হয়। গত ১১ নভেম্বরের ওই ঘটনায় সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে ১০ জন সশস্ত্র হামলাকারী নিহত হয়েছিলেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কুকি জঙ্গিদের একটি দল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সাথে বন্দুকযুদ্ধে জড়ালে আরেক দল জিরিবামের বোকোবেরা পাড়ার মহিলা ও শিশুদের জিম্মি করে নিয়ে যায়। ওই বন্দুকযুদ্ধে কুকি জঙ্গিদের দশজন গুলিবিদ্ধ হন।
লাইশারাম হেরোজিৎ, রাজ্য সরকারের একজন কর্মী জানিয়েছেন, তার দুই সন্তান, স্ত্রী, শাশুড়ি এবং স্ত্রীর বোন জিম্মি করা হয়েছিল। তারা সবাই মেইতি সম্প্রদায়ের। তিনি এখনও মৃতদেহ দেখতে পারেননি।
হেরোজিৎ গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) এনডিটিভিকে বলেছিলেন, তার এক বন্ধু সোমবার (১১ নভেম্বর) তার স্ত্রীকে সশস্ত্র লোকরা নৌকায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছেন। তিনি জানান, সোমবার বোরোবেকরায় গুলি ও অগ্নিসংযোগের সময় তার স্ত্রীর কাছ থেকে ফোন আসে। ফোনে তার স্ত্রী কাঁদছিল এবং বলেছিল অনেক সশস্ত্র লোক তাকে ঘিরে রয়েছে।
কুকি উপজাতিরা দাবি করছে যারা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যারা নিহত হয়েছে তারা ছিল ‘স্বেচ্ছাসেবক’। তবে পুলিশ কুকিদের দাবি অস্বীকার করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের দাবি
তারা ঘটনাস্থল থেকে অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) লঞ্চার উদ্ধার করেছে। পুলিশের গাড়িতে অসংখ্য বুলেটের আঘাতের ছিদ্র রয়েছে।