শুরুতে ভিতটা হলো ভালোই। নাজমুল হোসেন শান্তও ইনিংসের হাল ধরে থাকছিলেন।কিন্তু তার বিদায়ে হঠাৎ ঘটে ছন্দপতন। শেষদিকে অবশ্য নাসুম আহমেদ ও জাকের আলির ব্যাটে ভর করে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
শারজাহতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের সামনে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২৮ রানেই হারিয়ে ফেলে প্রথম উইকেট। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া তানজিদ হাসান ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করে ক্যাচ দেন আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফরের হাতে। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক শান্ত।
৯৩ বলে ৭১ রানের এই জুটি ভাঙে সৌম্য রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে। ২ চার ও সমান ছক্কায় ৪৯ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি। রিপ্লেতে অবশ্য দেখা গেছে, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন সৌম্য; বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
এরপর শান্তর সঙ্গী হন সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের জুটিও পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু হুট করে ৩২ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
শুরুটা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। ৩৩ বল খেলেও কোনো বাউন্ডারি হাঁকাননি তিনি, করেন ২২ রান। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে যান মিরাজ। এরপর কিছুটা ধীর ইনিংস খেলা শান্তও বিদায় নেন। নাগাইলিয়া খারোটির বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি নবীর হাতে। এর আগে ১১৯ বলে করেন ৭৬ রান।
এ দুজনের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন দ্রুত। ১৬ বলে ১১ রানে হৃদয় ও ৯ বলে ৩ রানে আউট হন রিয়াদ। তাদের দুজনের বিদায়ের পর কিছুটা হাল ধরেন অভিষিক্ত জাকের আলি অনিক ও নাসুম আহমেদ।
৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি ছিল এই দুজনের। ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হন গজানফার। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা জাকের আলি।