চলতি বছরের ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এর মধ্যেই ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে ভারত সরকার। চিকিৎসা ভিসা ছাড়া অন্যান্য ভিসায় বন্ধ রয়েছে ভারত ভ্রমণ। কার্যক্রম সীমিত করার আগে যারা ভিসা নিয়ে ছিলেন, শুধু তারাই এখন ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। আর এর চরম প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসাখাতে। বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মার্কুইস স্ট্রিটের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন সরদার জানিয়েছেন, বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে ৩-৪ মাস ধরে মার্কুইস স্ট্রিট পুরো ফাঁকা। ভিসা সমস্যার কারণে বাংলাদেশ থেকে কোনো পর্যটক এখানে সেভাবে আসতে পারছে না। ফলে আমাদের দোকান ভাড়া মেটানোটাই খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আমরা চাই, অতি শিগগির দুই দেশের সমস্যার সমাধান হয়ে ভিসা চালু হয়ে যাক।
কলকাতায় চিকিৎসা করতে এসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা বাদল সরদার বলেন, আমার ভিসা আগেই করা ছিল। আমি এখানে চিকিৎসা করাতে এসেছি। আমি জানি, ভারত ভারতের অবস্থানে রয়েছে ও বাংলাদেশের অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এক দেশের ক্ষতি করে আরেক দেশের উপকার কোনো দিনও হয় না।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই মনে করে, ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করবে। কী ক্ষতি করবে? বাংলাদেশের ক্ষতি করার কী আছে। আমরা যদি আমাদের দেশ নিয়ে চক্রান্ত করি, তাহলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রুপ দিতে হলে আমাদেরই কাজ করতে হবে।
চলতি বছর প্রতিবেশি দুই রাষ্ট্রের নীতিতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও কলকাতার ব্যবসায়ীদের আশা, অচিরেই সব সমস্যার সমাধান হবে। ফলে আবারও বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠবে কলকাতার এক টুকরো বাংলাদেশ নামে পরিচিত নিউমার্কেট চত্বর।