যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড কিকি হাকানসন ৯৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। গত সোমবার (৪ নভেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাড়িতে ঘুমের মধ্যে মারা যান তিনি। তার পরিবার নিশ্চিত করেছে যে, তিনি বয়সজনিত কারণেই মারা গেছেন। মিস ওয়ার্ল্ডের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৫১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন এ সুন্দরী।
সুইডেনে জন্মগ্রহণকারী কিকি হাকানসন মিস ওয়ার্ল্ড উত্তরাধিকারের সূচনা করেছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল পেজে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
অফিসিয়াল পোস্টে লেখা হয়েছে— আমরা কিকির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমাদের ভালোবাসা প্রেরণ করছি এবং আমরা প্রার্থনা করছি।’
তার ছেলে ক্রিস অ্যান্ডারসনও তার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাকে ‘হাস্যরস ও বুদ্ধির’ মেলবন্ধন বলে উল্লেখ করেন। এবং কিকিকে বর্ণনা করেন, ‘বাস্তব, দয়ালু, প্রেমময় এবং মজাদার’ হিসেবে। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘উষ্ণতা ও উদারতার জন্য যারা তাকে (কিকি হাকানসন) চিনতেন, তারা সবাই তাকে মনে রাখবেন।’
মিস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারপারসন জুলিয়া মোরলে তার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা শেয়ার করে বলেন, ‘কিকি একজন সত্যিকারের অগ্রগামী ছিলেন এবং তাই এটি উপযুক্ত ছিল যে কিকি প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড হিসাবে ইতিহাসে তার জায়গা পাবেন। আমরা অনন্তকাল ধরে প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড, কেরস্টিন (কিকি) হাকানসনের স্মৃতি উদযাপন করব, যিনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’
কিকি হাকানসনের প্রয়াণ মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার জন্য একটি যুগের অবসান চিহ্নিত করে, তবে প্রথম বিজয়ী হিসাবে তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মের জন্য চিরস্থায়ী হবে। একজন পথিকৃৎ হিসাবে তিনি কেবল ভবিষ্যতের পেজেন্ট কুইনদের জন্য মঞ্চ তৈরি করেননি, বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপেও একটি আইকনিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।