যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জাতীয় এ ভোট পরবর্তী প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি প্রতিনিধি সভা ও সিনেট গঠনও নির্ধারণ করবে।
এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেটি প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত কয়েক সপ্তাহের জরিপে দুজনেরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেছে। ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন, তা আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন রাজনীতি এবং পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করবে।
আমেরিকার পূর্ব উপকূলে ভারমন্টে স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কানেকটিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, মেইন, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক এবং ভার্জিনিয়ার ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
ভোট শুরু হয়েছে ওহাইও, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনাতেও। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, লুসিয়ানা, ম্যারিল্যান্ড, মাসাচুসেটস, মিশিগান, মিসৌরি, পেনসিলভানিয়া, রোড আইল্যান্ড, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ওয়াশিংটন ডিসিতেও ভোট শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এটি এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ ভোটাররা হয় হ্যারিসকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে, অথবা ট্রাম্পকে প্রথম দণ্ডিত অপরাধী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নির্বাচনের আগাম ভোট দেওয়ার সংখ্যা আট কোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে চার কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আর প্রায় তিন কোটি ৭ লাখ ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে এবারের প্রচারণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা গেছে।
আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানেন যে এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে হলে তাকে তরুণ ভোটারদের সমর্থন পেতে হবে।
তাই তিনি তরুণ ও নতুন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের আমি বিশেষভাবে বলছি, আমি তোমাদের শক্তি দেখি এবং আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্বিত।
অন্যদিকে মিশিগানে শেষ ভাষণে ট্রাম্প উপস্থিত সমর্থকদের প্রশ্ন করেন, তারা এখন চার বছর আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন কি না। তার এই প্রশ্নের বিপরীতে র্যালিতে উপস্থিত জনতা উচ্চস্বরে না-সূচক জবাব দেন।
এরপর ট্রাম্প বলেন বলেন, আজ রাতে আপনাদেরসহ সব আমেরিকান নাগরিকের প্রতি আমার খুব সহজ বার্তা, আমাদের এমনভাবে বেঁচে থাকতে হবে না।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির কমলা হ্যারিসকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, হ্যারিস ‘একজন উগ্র বামপন্থী পাগল’।