আবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে। এবার বাবা সিদ্দিকের ছেলে জিশান সিদ্দিককেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়ের এই ব্যক্তি তাঁদের কাছে টাকা দাবি করেছে। এদিকে পুলিশ সন্দেহজনক ব্যক্তিকে নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
১২ অক্টোবর এনসিপি নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে গুলি হত্যা করা হয়েছিল। বাবা সিদ্দিকের ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। ২৫ অক্টোবর বিকেলে জিশান সিদ্দিকের দপ্তরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। জিশানের সঙ্গে সালমান খানকেও হুমকি দিয়েছিল সেই ব্যক্তি।
এর পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকার দাবিও করেছিল অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি। হুমকির এ ঘটনার পর নির্মল নগর পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। জানা গেছে, নয়ডা ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযুক্তকে নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অজ্ঞাত পরিচিয়ের সেই ব্যক্তির নাম গুরফান খান বলা হচ্ছে। আর তাঁর বয়স ২০ বছর মতো।
বাবা সিদ্দিককে হত্যার পেছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত আছে বলে জানা গেছে। লরেন্স বিষ্ণোই নিজে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে সালমান খানের গভীর বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে ভাইজানের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে বাবা সিদ্দিককে। তবে তাঁর ছেলে জিশান এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।
জিশানের মতে, সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে তাঁর বাবাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
এদিকে বাবা সিদ্দিকের মতো বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সালমান। এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর ১৬ দিনের বেশি পার হয়ে গেছে। সালমান নিয়মিত সিদ্দিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আর এ কথা জিশান জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় সালমান ভাই শোকাহত। উনি সব সময় পাপাকে (বাবা) স্মরণ করেন। আর আমাকে ফোন করে পরিবারের হালচাল জিজ্ঞাসা করেন৷ এ ঘটনার ১৬ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু সালমান ভাই রোজ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। সালমান ভাই অনেক বেশি রাতে ফোন করে জানান যে উনি ঠিক আছেন। তবে ভাই সারা রাত ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।’ জিশান এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ‘সালমান ভাই আর পাপা আপন ভাইয়ের মতো একে অপরের কাছাকাছি ছিলেন। পাপার মৃত্যুর পর ভাই আমাদের খুব সঙ্গ দিয়েছেন। উনি আমাদের পাশে সব সময় আছেন আর আগামী দিনেও থাকবেন।’
বাবা সিদ্দিকের হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো ৩ জন পলাতক। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলার তদন্ত করছে।