নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাড়িতে আগুনে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের গুরুতর অবস্থায় রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর).রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডহরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা সবাই বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, ডহরগাঁও এলাকায় জুলেখা বেগমের এক তলা বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে গত চার-পাঁচ মাস যাবত বসবাস করছেন পরিবারটি। তাদের সবাই আশপাশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শুক্রবার রাত এগারোটার দিকে সবাই শুয়ে পড়েন। এসময় কেউ একজন মশার কয়েল জ্বালালে ঘরে আগুন ধরে যায়।
এতে আগুনে দগ্ধ হন বাবুল (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৮), তাদের দুই ছেলে সোহেল (২২), ইসমাইল (১৪), মেয়ে তাছলিমা (১১) ও সোহেলে স্ত্রী মুন্নী (২০)। আগুনে পুঁড়ে যায় তাদের ঘরের সব আসবাবপত্র।দগ্ধদের চিৎকার শুনে আশপাশের বাসিন্দারা এসে আগুন নেভায় এবং দগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখান থেকে দগ্ধদের রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে আগুনে দগ্ধ নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, আহতরা কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা এই মূহূর্তে নির্ণয় করা যাচ্ছে না। বর্তমানে সবাইকে জরুরি বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী (ওসি) বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সেই ঘরে পুলিশ মশার কয়েল জ্বালানো দেখতে পায়। সেখান থেকেই আগুন সূত্রপাত বলে আমরা ধারণা করছি।
গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, একট রুমে এক পরিবারের ছয়জন মানুষ বসবাদ করে। সেখানে গ্যাসের লাইন কিংবা সিলিন্ডারের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।