ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে কারাগারের সেল থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ওই হাজতির লাশ উদ্ধার করা হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্তসহ আরও দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
মারা যাওয়া ওই হাজতির নাম মো. জুয়েল (৩৪)। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলার গ্রামের আবু চান মিয়ার ছেলে। নারী ও নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন জুয়েল।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী রিপন বড়ুয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি একই অভিযোগে প্রধান কারারক্ষী আবদুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১ ক/ ৩০ ধারায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর থেকে তিনি জেলা কারাগারে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট সময়ে কারাগারের একটি সেল থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ওই হাজতির লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতেই কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই তাঁর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইকরামুল হক বলেন, কারাগারের ভেতরের একটি সেল থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। জেলা কারাগারের চিকিৎসক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রধান কারারক্ষী ও সহকারী কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।