গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আরও ৪৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২১৯ জন। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেকেই এখনো ধ্বংষস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলার সময় তাদের মনে হয়েছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মেডিক্যাল চ্যারিটি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর সপ্তাহব্যাপী হামলার কারণে হাজার হাজার মানুষ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আটকা পড়েছে। সেখানে অব্যাহত বিমান হামলার কারণে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ হাজার ১২৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৮ হাজার ১১৭ জন।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সময় শনিবার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফার উপকূলের দক্ষিণে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হাইফা শহরের দক্ষিণে একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে তারা বিস্ফোরকের একটি গুদাম লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ব্লু হেলমেট) সদর দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় দুইজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেওয়া ইউরোপীয় দেশগুলো এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় গুলি চালিয়েছে। তবে তাদের দাবি, হিজবুল্লাহর সশস্ত্র সদস্যরা জাতিসংঘের ঘাঁটির কাছে অবস্থান করছিল। ইতালি ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।