‘গহীনে শব্দ’, ‘লাল টিপ’ ও ‘শঙ্খচিল’ দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। এবার প্রথমবার চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হলেন তিনি।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’। এতে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। প্রথম সপ্তাহের জন্য মাত্র দুটি মাল্টিপ্লেক্স মুক্তি পেয়েছে এটি।
এরমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের হলগুলোতে প্রতিদিন ১৬টি করে শো চালাবে। বসুন্ধরা, সীমান্ত সম্ভার, এসকেএস টাওয়ার, সনি স্কয়ার এবং বালি আর্কিডে প্রতিদিন দেখা যাবে সিনেমাটি। এরমধ্যে বসুন্ধরা সিটি, সনি স্কয়ার এবং বালি আর্কিডে প্রতিদিন রয়েছে সিনেমাটির চারটি করে শো। অন্যদিকে ঢাকার ব্লকবাস্টারে সিনেমাটি চলবে প্রতিদিন ৪টি করে শো।
নিজের লেখা বই ‘অজাগতিক ছায়া’ থেকে ‘শরতের জবা’ গল্পটি চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে এনেছেন কুসুম। একজন একাকী নারীর রহস্যময় জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।
অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। জবা কি আসলেই খুনি? নাকি অদৃশ্য কোন শক্তি রয়েছে তার সঙ্গে? এমন থ্রিলার গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা।
দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শরতের জবা মুক্তি নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন কুসুম শিকদার। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি থাকলেও পূজা উপলক্ষে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কুসুম শিকদার বলেন, অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন এই সময়ে সিনেমাটি মুক্তি না দিতে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ইতিবাচক একজন মানুষ। নানা যুদ্ধের মধ্যে, স্ট্রাগলের মধ্যে, অনেক না পাওয়ার মধ্যেও পজিটিভ থাকি।
তিনি আরও বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে কোনো কিছু তো থেমে নেই। সব অফিস চলছে, সবাই নিজেদের কাজ করছে। বিনোদনের মাধ্যমগুলোও সক্রিয়। তাহলে শুধু সিনেমা হল কেন বন্ধ থাকবে? নতুন সিনেমা মুক্তি পাবে না কেন? এ কারণে ঝুঁকি থাকলেও দুর্গাপূজায় শরতের জবা মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, সবাই সিনেমাটি দেখবেন।
সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও প্রযোজনাও করেছেন কুসুম। কুসুম সিকদার ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু।