যুদ্ধটা নিজের নয়, তবুও এর আঁচে পুড়ছেন লেবাননে থাকা প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি। রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। কিন্তু যাদের সংঘাতের বলি আজ প্রবাসী বাংলাদেশিরা, তাদের কাছ থেকেই মিলছে না কোনো সহায়তা।
গেল শুক্রবার লেবাননে আকাশপথে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সবচেয়ে তীব্র হামলা চলছে দক্ষিণাঞ্চলের দাহিতে। তাই সেখান থেকে বাংলাদেশিরা প্রাণ বাচাঁতে যাচ্ছেন বৈরুতের দিকে। সেখানে সরকারিভাবে নানা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তাতে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা।
এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, কোম্পানির কাছে গিয়ে বললাম আমাদের এই করুণ অবস্থা। তখন কোম্পানি বা মোদির বলল, আমরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। আপনাদের নিরাপত্তা কীভাবে দিব?
তিনি আরও বলেন, আমাদের খাবার দরকার। কিন্তু আমরা কই খাবার পাব? আমরা খোলা আসমানের নিচে আছি। আমাদের জানের নিরাপত্তা কী? এখানে লেবানিজরা এসে অন্যদের খাবার দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেইনি। আমাদের এখন খাবার সংকট। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। আমরা এখন কোথায় যাব?
তবে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার না পাওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন সামর্থবানরা। ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে উদ্ধারকাজ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে খাবার ও পানি সরবরাহ করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী জানান, হামলার খবরে তারা এক কাপড়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সাও আনতে পারেননি। রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। তারা সরকারের সহায়তা চান।
এদিকে লেবাননের সংঘাতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে চলছে তাদের চিকিৎসা। আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে কাজ করছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।