আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৩৬ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। পরে শিল্প পুলিশের করা একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানায় নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৩৬ জনকে আটক করেছেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
এরআগে শিল্পপুলিশ-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মণ্ডল নীটওয়্যার গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আলোচনায় বসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় দুই শ্রমিককে গুম ও দুজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে গুজব ছড়ান শ্রমিকরা। এছাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকার ন্যাচারাল ডেনিমস ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা অযৌক্তিক বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। একপর্যায়ে অসন্তোষের কারণে কর্তৃপক্ষ এই দুই কারখানায় ছুটি ঘোষণা করলে সব শ্রমিক একযোগে বের হয়ে আসেন।
এসময় তাদের সঙ্গে ম্যাঙ্গোটেক্স কারখানার উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা বহিরাগতদের নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে টঙ্গাবাড়ি এলাকায় মণ্ডল গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন। পরে কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের যৌথবাহিনী আটকে রেখেছে বলে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তারা।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসময় যৌথবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তারা বারবার তাদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন তারা। তাদের আবারও বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক ও বহিরাগতরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা ও রডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালান।
এসময় শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ও র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামানসহ যৌথবাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য গুরুতর আহত হন। ভাঙচুর করা হয় সেনাবাহিনীর পাঁচটি, র্যাবের দুটি ও শিল্প পুলিশের একটিসহ আটটি গাড়ি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আটক ৩৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।