লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে যে, তারা শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। খবর আল জাজিরার।
হিজবুল্লাহর এই শীর্ষ নেতার প্রচুর সমর্থক রয়েছে। বিশেষ করে, লেবাননে শিয়া নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অনেক। সেখানকার লোকজন তাকে বাবার মতো সম্মান করেন। তিনি সেখানে এমন একজন ধর্মীয় নেতা এবং সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব যিনি লেবাননের লোকজনের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় লেবাননে হিজবুল্লাহর ১৪০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বহু আবাসিক ভবনও হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
এদিকে তেল আবিবে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলায় হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
লেবাননের হামলার পরই পাল্টা হামলা হিসেবে তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেবানন থেকে মধ্য ইসরায়েলের দিকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র খোলা জায়গায় গিয়ে পড়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
গত সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু বেসামরিক নাগরিক।