মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য প্রায় ১৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা প্রায় (ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা ধরে)।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত উচ্চ-পর্যায়ের এক পার্শ্ববৈঠকে এই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘোষিত নতুন তহবিলের মধ্যে প্রায় সাত কোটি ডলার দেবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব পপুলেশন, রিফিউজি এবং মাইগ্রেশন (পিআরএম)। বাকি ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার আসবে ইউএসএআইডি থেকে, যার মধ্যে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সরবরাহের জন্য। এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যসামগ্রী কিনে, তা পরিবহন ও বিতরণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
এই সহায়তা রোহিঙ্গাদের জীবনরক্ষা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি, শিক্ষার সুযোগ এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ বাড়ানোর কাজেও এসব অর্থ ব্যয় করা হবে। এছাড়া, ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার উপযোগী পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের প্রস্তুত করার জন্যও এই সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ২৫০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ২১০ কোটি ডলার বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সংকটকবলিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যান্য দাতা দেশগুলোকেও একই ধরনের সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।