
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কথিত অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় ঘিরে দ্বিতীয় দিনের মতো সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) প্যারামাউন্ট এলাকায় ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা দাবি করেন, বাড়ির বাইরে থেকে আরও অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এ সময় দাঙ্গা পোশাক ও গ্যাস মাস্ক পরা নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দেন, ‘আইসিই এখান থেকে বেরিয়ে যাও। আমরা জানি তোমরা কী। এখানে তোমাদের জায়গা নেই।’ এক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কোনো মানুষই অবৈধ নয়।’
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আইন প্রয়োগে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত নীতি বিষয়ক প্রধান টম হোমান ফক্স নিউজে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে।
গত শুক্রবার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) শহরজুড়ে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৪৪ জনকে আটক করার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এ ঘটনায় শহরের এডওয়ার্ড আর রয়্যাল ফেডারেল বিল্ডিংয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা ‘ছেড়ে দাও, থাকতে দাও’ স্লোগান দেন।
ডিএইচএস এক বিবৃতিতে জানায়, প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারী ফেডারেল ভবন ঘিরে আইসিই কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়, টায়ার কাটে, ভবন ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে।
হোয়াইট হাউজের উপপ্রধান স্টিফেন মিলার একে ‘মার্কিন আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিদিন তিন হাজার কথিত অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে এ অভিযানে কিছু বৈধ অভিবাসীও আটকের শিকার হচ্ছেন, যা আইনি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।