
এক নম্বরের সঙ্গে দুই নম্বরের লড়াই। সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হবে, সেটি অনুমান করাই যাচ্ছিল। সেই লড়াইয়ে বিশ্ব টেনিসের এক নম্বর তারকা আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে দিলেন এক ধাপ পেছনে থাকা কোকো গফ। জিতে নিলেন নিজের প্রথম ফরাসি ওপেন।
২০২২ সালের ফাইনালে ইগা শিয়নটেকের কাছে হারতে হয়েছিল। এ বার আর সুযোগ নষ্ট করলেন না গফ। আড়াই ঘণ্টায় তিন সেটের লড়াই (৬-৭, ৬-২, ৬-৪) জিতলেন তিনি। সেরেনা উইলিয়ামস ১০ বছর আগে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবার কোনও আমেরিকান খেলোয়াড়ের হাতে উঠলো এই ট্রফি।
২০২৩ সালের ইউএস ওপেনের রিপ্লেই যেন দেখা গেল এবারের ফরাসি ওপেনে। সে বারও প্রথম সেট হেরে পরের দুটো সেট জিতেছিলেন গফ। সেটাই তার প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। নিজের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামও তিনি জিতলেন সেই সাবালেঙ্কাকে হারিয়েই।
ফাইনালে প্রথম সেটে দারুণ শুরু করেছিলেন সাবালেঙ্কা। এগিয়ে গিয়েছিলেন ৪-১ গেমে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেটটাকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান গফ। তবে সেখানে আর পেরে ওঠেননি।
এরপর দ্বিতীয় সেটে গফের কাছে পাত্তাই পাননি সাবালেঙ্কা, হেরেছেন ৬-২ গেমে। শেষ সেটে বেশ কবারই ঘুরে দাঁড়ানো ইঙ্গিত দিয়েও শেষ পর্যন্ত রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকলে হলো সাবালেঙ্কাকে।
মাত্র ২১ বছর বয়সে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন গফ। তার পর গ্যালারিতে দৌড়ে গেলেন। পরিবার, কোচ ও দলের বাকিদের সঙ্গে উৎসবে মাতলেন।
অন্যদিকে সাবালেঙ্কা তখন হতাশ হয়ে চেয়ারে বসে। হারের হতাশায় চোখের জল বাঁধ মানলো না ২৭ বছর বয়সী বেলারুশ তারকার। রানার্সের ট্রফি নিতে গিয়ে রীতিমত কেঁদে বুক ভাসালেন সাবালেঙ্কা।