
ঐতিহাসিক সফরে ভিয়েতনামের পর এবার মালয়েশিয়ায় গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। নিজেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে তুলে ধরছেন শি। তার এই সফরের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব কমে চীনের অবস্থান দৃঢ় হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর মধ্যদিয়ে প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ায় পা রাখলেন তিনি।
মালয়েশিয়ায় পা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি বলেন, দ্বিপাক্ষিক উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সহযোগিতা শুধু চীন-মালয়েশিয়ার জন্য নয়, বরং এই অঞ্চলের ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সফর বন্ধুত্ব ও নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পথচলার অংশ।
মালয়েশিয়া সফরকালে বুধবার (১৬ এপ্রিল) শি জিনপিং মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিমের সাথে দেখা করেছেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনদিনের এই সফরে থাকবে রাজকীয় নৈশভোজ, চুক্তি স্বাক্ষর ও যৌথ বিবৃতি।
মালয়েশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত বলছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারের শাসনে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি ডলার।
চীনা গণমাধ্যমের তথ্য মতে, আসিয়ানের চেয়ারম্যানশিপ, উচ্চপ্রযুক্তি কেন্দ্র এবং মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী কণ্ঠ হিসেবে চীনের দৃষ্টিতে মালয়েশিয়া এখন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে চীনের লক্ষ্য বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্রকে ডিঙ্গিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছে শি জিনপিং এর সফর। মালয়েশিয়ার পর কম্বোডিয়া সফরে যাবেন চীনা প্রেসিডেন্ট।