
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০৪ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে গোষ্ঠটির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে জানানো হয়, নিহতের সংখ্যা ৪১৩।
অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের নেচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে হামলায় ৬৬০ জনের বেশি আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ জানিয়েছেন।
গাজা যুদ্ধের কারণে অনেক হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জানান। তিনি বলেন, গাজায় চিকিৎসা সুবিধার তীব্র ঘাটতি রয়েছে, ৩৮টি হাসপাতালের মধ্যে ২৫টি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলি আগ্রাসনে বিপুল সংখ্যক আহত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসার জন্য আমাদের ভ্রাম্যসাণ হাসপাতাল, শয্যা এবং অস্ত্রোপচার রুমের প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ভোরে সেহরির সময় গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধের মধ্যে এই হামলা চালায় দখলদার ইসরাইললি বাহিনী।
হামাস নেতা ইজ্জত আল-রিশক এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে নেতানিয়াহু আটক জিম্মিদের বলিদান এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতানিয়াহু সরকারের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে মনোযোগ সরাতে সংঘাতকে রাজনৈতিক ‘লাইফবোট’ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করে হামাস।
অন্যদিকে গাজায় হামলার পর এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা।
‘ইসরাইল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে’ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, যতক্ষণ না আমাদের জিম্মিদের বাড়ি ফেরানো হয় এবং যুদ্ধে আমাদের সব লক্ষ্য অর্জন না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা লড়াই বন্ধ করব না।’