
দক্ষিণী অভিনেত্রী সৌন্দর্য ‘সূর্যবংশম’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজরে আসেন। প্রয়াত এই অভিনেত্রী সিনেমাটিতে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কাজ করেন। তবে তার হঠাৎ মৃত্যুতে স্থবির হয়ে পড়ে শোবিজ অঙ্গন। মৃত্যুর ২১ বছর পর দক্ষিণী অভিনেতার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সৌন্দর্যের। যে খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল গোটা ভারতে। সে সময় তার মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি অনেকে।
মৃত্যু নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। কারণ সেই বিমানেই ছিলেন তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডি। এবার ২১ বছর বাদে দক্ষিণী সুন্দরীর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তেলুগু সুপারস্টার মোহনবাবু।
সম্প্রতি অভিনেতা মোহনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক সমাজকর্মী। যিনি খাম্মাম জেলার সত্যনারায়ণপুরম গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি স্থানীয় থানায় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কন্নড় অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর নেপথ্যে মোহনবাবুর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
অভিযোগকারীর দাবি, বিমান দুর্ঘটনার আগে মোহনবাবু সৌন্দর্যকে তার জেলেপল্লীর ছয় একর জমির বিলাসবহুল গেস্ট হাউজ বিক্রি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। যা মানতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রীর ভাই।
সৌন্দর্যর মৃত্যুর পর জোরপূর্বক ওই জমির দখল নেন মোহনবাবু। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মামলা শুরু হয়নি। যে কারণে অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে ফের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সেই সমাজকর্মী।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী সৌন্দর্য অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘সূর্যবংশম’ ছবিতে দারুণ অভিনয়ের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। ২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান সৌন্দর্য। সেই সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। ওই প্রাইভেট বিমানে ছিলেন তার ভাইও। বিজেপি-র হয়ে করিমনগরে প্রচারে যাওয়ার সময় বিমানটি ভেঙে পড়ে। সৌন্দর্য সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার পর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ফলে সৌন্দর্যর দেহ পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।
২০০৩ সালে শ্রীধরকে বিয়ে করেন সৌন্দর্য। রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। দলের হয়ে প্রচারে অংশ নিতেই প্রাইভেট বিমানে চেপে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বেঙ্গালুরুর কাছে গাঁধী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনার পর আগুনের লেলিহান শিখায় ঢেকে যায় চারিদিক। সেই আগুনের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ। সৌন্দর্য, তার ভাই অমরনাথ, বিজেপি কর্মী রমেশ কদম এবং জয় ফিলিপস নামের পাইলট, সকলের দেহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে শনাক্তও করা যায়নি।