
লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারকে বার্তা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা ওই ঘটনার ভিডিও দেখেছি। সেখানে জয়শংকরের নিরাপত্তা বলয় লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিচ্ছিনতাবাদী গোষ্ঠী এবং কট্টরপন্থিদের এই উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। আমরা আশা করছি সে দেশের সরকার তাদের কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জয়শঙ্কর। ওই অনুষ্ঠান শেষে তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন গাড়ি থেকে নামার সময় তার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। তাকে হেনস্থা করা হয়। এদিকে জয়শংকরের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, জয়শংকরের গাড়ির দিকে ছুটে যাচ্ছে এক ব্যক্তি। সে সময় ওই ব্যক্তি ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। সামনেই লন্ডনের পুলিশ কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। তবে ওই হামলাকারী ব্যক্তিকে সরাতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ও ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, কয়েকজন খালিস্তান সমর্থক হলুদ পতাকা ধরে আছে এবং বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
এর আগে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা করা হয়েছিল। কানাডাতেও ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে খলিস্তানিদের।
২০২৩ সালের ১৯ এবং ২২ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তানিরা। পাঞ্জাবে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র হাতে ধরা পড়েছিল এক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। ব্রিটেনের হাউন্সলোর বাসিন্দা সে। ২০২৩ সালের ২২ মার্চের হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল ইন্দরপাল। সেদিনের হামলায় তার ভূমিকার জন্যই এজেন্সি তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে। ২২ মার্চের ঘটনায় প্রায় দু’হাজারেরও বেশি খলিস্তান সমর্থক ভারতীয় হাইকমিশন ভবনে ভাঙচুর করেছিল। পাশাপাশি দেওয়াল বিকৃত করেছিল কালি দিয়ে।