দলে যার যার ভূমিকা পালন করেছেন। তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে তাদেরই মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। দারুণ পারফরম্যান্স করার স্বীকৃতি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও পেলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
সিরিজসেরা মেহেদী হাসান ফিরেছেন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে দশে। তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার উঠে এসেছেন ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে মেহেদী তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছেন। ৩ ম্যাচের সিরিজে নেন ৮ উইকেট। এক ম্যাচেও ২০ রানের বেশিও খরচ করেননি।
তাতে ১৩ ধাপ এগিয়ে বোলারদের তালিকায় ১০ নম্বরে উঠে এসেছেন মেহেদী। ২০২১ সালের পর প্রথমবার শীর্ষ দশে জায়গা পেলেন মেহেদী। এই অফ স্পিনারের পরই র্যাঙ্কিংয়ে তাসকিনের অবস্থান। ৭ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ১১ নম্বর অবস্থানে তাসকিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ৭ উইকেট নেওয়ার পুরস্কারই তিনি পেলেন।
লেগ স্পিনার রিশাদ চলতি বছরে টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি। যা এক বছরে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ধরে রেখেছেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ৩ ম্যাচে নেন ৬ উইকেট। তাঁর অবস্থান ১৭ নম্বরে। এই লেগ স্পিনার ২১ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন।
দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসানও ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে উঠেছেন। ২৩ ধাপ এগিয়ে হাসানের অবস্থান ২৪ নম্বরে, ১৬ ধাপ এগিয়ে তানজিমের ৪৫ নম্বরে।
ব্যাট হাতে তৃতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলা জাকের আলী বিশাল লাফ দিয়েছেন। ৮৫ ধাপ এগিয়ে তাঁর অবস্থান এখন ৮৭ নম্বরে।
টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে নতুন কীর্তি গড়েছেন যশপ্রীত বুমরা। ৯০৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষে বুমরা। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের বোলারদের সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্টের রেকর্ড ছুঁয়েছেন বুমরা। ২০১৬ সালে সমান ৯০৪ রেটিং পয়েন্টইপেয়েছিলেন সদ্য অবসর নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
অ্যাডিলেডে সেঞ্চুরি করা ট্রাভিস হেড গ্যাবাতে পান সেঞ্চুরি। তাতে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন হেড। ব্রিসবেনে সেঞ্চুরি করে স্টিভ স্মিথ এক ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে ঢুকেছেন।