গত ৩০ আগস্ট আবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে গৌতম মেননের সিনেমা ‘রেহনা হ্যায় তেরি দিল মেঁ’। ২৩ বছর পর ছবিটির আবার মুক্তি নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভেসেছেন ভক্ত-অনুসারীরা। নতুন করে ছবিটি মুক্তি উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির দুই অভিনয়শিল্পী আর মাধবন ও দিয়া মির্জা। যেখানে উঠে আসে সিনেমাটি নিয়ে তাঁদের স্মৃতি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
আর মাধবন, দিয়া মির্জা ও সাইফ আলী খান অভিনীত এ ছবি প্রথমবার বড় পর্দায় এসেছিল ২০০১ সালে। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি। কিন্তু বছর দু–তিনেক পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এ ছবির জনপ্রিয়তা।
এতটাই বেড়ে যায় যে ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনীত চরিত্রের পাশাপাশি এর প্রতিটি গান, আবহ সংগীত—সবকিছু আজও হিন্দি ছবিপ্রেমী দর্শকের মুখে মুখে ফেরে।
সম্প্রতি এ ছবির দ্বিতীয়বার মুক্তির প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে একটি চ্যাট সেশনে মুখোমুখি হয়েছিলেন মাধবন ও দিয়া। সেখানে তাঁরা জানান, এ ছবির বক্স অফিস সাফল্য নিয়ে তাঁরা একেবারে নিশ্চিত ছিলেন। তাই যখন বক্স অফিসে তা মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ভীষণ দুঃখ পেয়েছিলেন তাঁরা।
দিয়া বলেন, ‘এ ছবির শুটিং রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি করে শেষ করেছিলাম আমরা। কখনো নিউজিল্যান্ডে ছুটছি তো কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায়। আবার সেসবের মধ্যে দেশে থাকলে মুম্বাইয়ে ছবির বাকি অংশের শুটিং সেরেছি। বলতে গেলে, বিমানে আসা–যাওয়ার মধ্যেই বিশ্রাম পেতাম আমরা। গোটা ছবির শুটিংজুড়েই এই ছোটাছুটি চলেছিল। এমনকি শুটিং শেষ হওয়ার আগেই নির্মাতাদের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হলো ছবি মুক্তির তারিখ।’
এখানেই না থেমে দিয়া আরও জানান, ছবি মুক্তির আগে মাধবন তাঁকে জানিয়েছিলেন, এ ছবি শুধু বক্স অফিসেই সফল হবে না, পাশাপাশি দর্শকের মন জয় করবে। করবেই। কিন্তু আদতে তা হয়নি। ছবির ব্যর্থতার পর এ ছবির সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীরা চুপসে গিয়েছিলেন। তাঁদের সব আশা এভাবে মিথ্যা হয়ে যাবে, তা মেনে নিতে কেউ প্রস্তুত ছিলেন না।
ওই সেশনে এ প্রসঙ্গ তুলে মাধবনের উদ্দেশে দিয়া বলে ওঠেন, ‘তবে এ ছবি নিয়ে তোমার বলা কথা ব্যর্থ হয়নি, ম্যাডি। হয়তো সে সময় এ ছবি প্রেক্ষাগৃহে সফল হয়নি, কিন্তু ধীরে ধীরে বছরের পর বছর ধরে সবার মনে যেভাবে জেঁকে বসেছে, মন জয় করে নিয়েছে, যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছে, তা অবিশ্বাস্য।’
মাধবন বলেন, ‘দিয়া, তোমার মনে আছে কি না, জানি না, এ ছবির ব্যর্থতার পর তুমি–আমি, অর্থাৎ আমরা সবাই নিজেদের দোষ দিচ্ছিলাম। মনে হয়েছিল, ছবির ব্যর্থতার দায় আমাদেরই। আমার যেমন মনে হয়েছিল, হয়তো আরও একটু রোগা হলে ভালো হতো কিংবা চরিত্র অনুযায়ী পোশাক বাছাই করায় হয়তো গলদ ছিল। স্রেফ আমাদের দোষত্রুটি খুঁজে বের করতে তৎপর হয়ে উঠেছিলাম আমরা। এরপর কেটে গেছে ২৩টি বছর। আজকের সময় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি, এই ২৩ বছরে কীভাবে এই ছবিকে গ্রহণ করেছেন দর্শক! ছোট পর্দায় বারবার দেখা থেকে শুরু করে অতিথি প্ল্যাটফর্মেও এই ছবি প্রতিনিয়ত দেখেছেন বিভিন্ন দর্শক।’