ডেনিস ভায়োলেট, রে ক্রফোর্ড, অ্যালান স্মিথ ও হ্যারি কেইন।
প্রথম তিনজনকে অচেনা লাগা অস্বাভাবিক কিছু না। ডেনিস ভায়োলেট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিখ্যাত ‘বাসবি বেবস’দের একজন, মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় যিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন। ‘জাঙ্গল বয়’খ্যাত রে ক্রফোর্ড পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে খেলেছেন ইংলিশ ফুটবলে, মালয় (এই সময়ের মালয়েশিয়া) ও ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন। আর অ্যালান স্মিথ আশি ও নব্বইয়ের দশকে খেলেছেন আর্সেনালে। এখন তো পুরোদস্তুর ফুটবলপণ্ডিত। চতুর্থ ভদ্রলোককে কি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে?
চ্যাম্পিয়নস লিগে গতকাল রাতেবায়ার্ন মিউনিখ ৯: ২ দিনামো জাগরেব। ৯ গোলের ৪টিই করেছেন তালিকার চতুর্থজন হ্যারি কেইন। ইংল্যান্ড কিংবদন্তি ৪ গোল করায় ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছেন বাকি তিন ভদ্রলোক। কারণ, ইউরোপিয়ান কাপের (১৯৯২ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ) ইতিহাসে চতুর্থ ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে একাই ন্যূনতম চার গোল করলেন কেইন।
বাকি তিনজনের নাম এখন না বললেও চলে। ঠিকই ধরেছেন, ভায়োলেট, ক্রফোর্ড ও স্মিথ।
১৯৫৬ সালে ইউরোপিয়ান কাপে বেলজিয়ামের ক্লাব আন্ডারলেখটের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন ইনসাইড ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা ভায়োলেট। ছয় বছর পর ১৯৬২ ইউরোপিয়ান কাপে ফ্লোরিয়ানার বিপক্ষে একাই পাঁচ গোল করেছিলেন ইপসউইচ টাউনে খেলা ক্রফোর্ড। ২৯ বছর পর ১৯৯১ ইউরোপিয়ান কাপে অস্ট্রিয়া ভিয়েনের বিপক্ষে ম্যাচে চার গোল করেন স্মিথ। তাঁর সেই কীর্তির ৩৩ বছর পর প্রথম ইংলিশ হিসেবে গতকাল রাতে ৪ গোল করলেন কেইন।
কেইনের করা ৪ গোলের তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। ফুটবলের পরিসংখ্যানভিত্তিক এক্স হ্যান্ডল অপ্টা জো জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে পেনাল্টির হ্যাটট্রিক করলেন কেইন। উয়েফা জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগ সংস্করণে ২০তম খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৪ গোল করলেন বায়ার্ন তারকা। চ্যাম্পিয়নস লিগে ওয়েইন রুনিকে টপকে ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ (৩৩) গোলের রেকর্ডও কাল গড়েছেন কেইন।
ম্যাচ শেষে ডিএজেডএন স্পোর্টসকে কেইন বলেছেন, ‘অসাধারণ ম্যাচ। একটু পাগলাটেও। এত গোল করায় রাতটাও দারুণ কাটল। সত্যি বলতে দ্বিতীয় গোলের পর বুঝতে পারছিলাম না তৃতীয়টি কীভাবে নেব। সৌভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছি।’ পেনাল্টি থেকে ৩ গোল করা নিয়ে কেইনের ভাষ্য, ‘এই প্রথম এক ম্যাচে (পেনাল্টি থেকে) ৩ গোল করলাম। এমন কিছু তো হয় না বললেই চলে।’