নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর হয়েছে মোট ৮টি। এর মধ্যে ছয়বারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, গত তিনবারেরও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াই ছিল পরিষ্কার ফেবারিট।
কিন্তু পরিসংখ্যান সবসময় শক্তিশালীদের পক্ষে থাকে না। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বুঝলো সে বাস্তবতা। দুবাইয়ে তাদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে ফাইনালে নাম লেখালো দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৩ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নিলো প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচ হারায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসি দলের মেয়েদের সপ্তমবার শিরোপা জয়ের আশা ভেস্তে গেল। ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে প্রথম শিরোপা জয়ের আরও কাছে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। অস্ট্রেলিয়া দল নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিং ব্যাটার বেথ মুনি খেলেন সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ৪২ বলে ৪৪ রান করেন। এছাড়াও অ্যালিস পেরি ২৩ বলে ৩১, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ৩৩ ২৭ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আয়াবোঙ্গা খাকা। এছাড়াও মারিজান ক্যাপ ও ননকুলুলেকো ম্লাবা একটি করে উইকেট নেন।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ শুরু করে। ৪.১ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় তারা। তাজমিন ব্রিটস ১৫ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে এরপরে লরা উলভার্ট ও অ্যানেকে বোশ ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান।
শেষ পর্যন্ত ১৪.৬ ওভারে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের বলে ৩৭ বলে ৪২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লরা উলভার্ট। এই সময়ে লরা উলভার্ট তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।
খেলা শেষ করে অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জিতিয়ে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন অ্যানেকে বোশ। অ্যানেকে বোশ ৪৮ বলে ৮টি চার এবং একটি ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস।