
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে পাকিস্তানি সেনাদের। এ ঘটনায় এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ওই ভারতীয় সেনার নাম দিনেশ কুমার। বুধবার রাত ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়।
এ নিয়ে সীমান্ত সংঘাতে নিহত ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক নাগরিক।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬ কোর বা হোয়াইট নাইট কোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ‘হোয়াইট নাইট কোরের জিওসি ও সকল সদস্য ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টের ল্যান্স নায়েক দিনেশ কুমারের চূড়ান্ত আত্মত্যাগকে সম্মান জানায়। তিনি ৭ মে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের সময় প্রাণ হারিয়েছেন। যারা পুঞ্চ সেক্টরে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হামলার শিকার হয়েছেন, আমরা তাদের পাশে আছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি সেনারা বুধবার সারা দিন সীমান্ত–সংলগ্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করে, বিশেষ করে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন।
সবচেয়ে বেশি গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাটি, শাহপুর ও মানকোট এবং রাজৌরির লাম, মাঞ্জাকোট ও গম্ভীর ব্রাহ্মণা এলাকায়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পাকিস্তানি সেনাদের গোলাগুলির পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা। দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছে, পাকিস্তানের হামলা রুখতে সতর্ক নজর রাখছে নয়াদিল্লি। যেকোনো ধরনের হামলা রুখতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করে রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে গ্রামবাসীদের।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে মঙ্গলবার রাতে দেশটির অন্তত ৯টি জায়গার ২৪টি স্থাপনায় হামলা চালায় ভারতের সেনাবাহিনী। মুজাফফারাবাদ ছাড়াও, কোটলি, শিয়ালকোট, মুরদিকে, শাকারঘার, পূর্ব আহমেদপুরে চালানো এসব হামলায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এদিকে হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।