পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার সায়েন্স ল্যাবরেটরিসহ একাধিক স্থানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে এ অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানের জন্য নগরীর অনেক স্থানে বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। দীর্ঘ সময় যানবাহনে থাকতে না পেরে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হচ্ছেন—এমন চিত্র নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশ বলেছে, নগরীর একটি বড় সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে অন্যগুলোতেও এর প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছে। বেলা তিনটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে যানজট ছিল।
আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বেলা তিনটার দিকেও অবরোধ-বিক্ষোভ চলছিল।
বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে মিরপুর সড়কসহ সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ঘিরে আশপাশের সড়কগুলোয় দীর্ঘ যানজট দেখা দেয় শুরু থেকেই। ভোগান্তিতে পড়েন বহু মানুষ। ধীরে ধীরে যানজট ছড়িয়ে যায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে।
বেলা দুইটার দিকে প্রথম আলোর একজন প্রতিবেদক মগবাজার থেকে কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা দেন। রিকশায় এটুকু পথ আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে তাঁর। প্রতিবেদক বলেন, ‘কারওয়ান বাজার রেলগেটের কাছে এসে যানবাহন চলছিল না একেবারে। এ সময় আমার মতো অনেককেই যানবাহন ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হতে দেখা গেছে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাবের কাছের সড়কে অবরোধ করার একই সময় মহাখালীতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে আসেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খন্দকার নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, রাজধানীর সড়কগুলো হলো নার্ভের মতো। একটির সঙ্গে আরেকটির যোগসূত্র আছে। কোথাও বন্ধ হয়ে গেলে পুরো নগরে এর প্রভাব পড়ে। আজও তা–ই হয়েছে।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মহাখালীতে অপেক্ষাকৃত বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের পাশাপাশি শাহবাগে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে নামের একদল। তারা মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ জলকামান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
খন্দকার নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিকল্প পথ ব্যবহার করে যানজট নিরসনের চেষ্টা করছি। যানজট নিরসনে চেষ্টা চলছে।’