চেন্নাই টেস্ট চলাকালীন সময়েই সাকিব আল হাসানের চোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। উঠবেই না কেন? ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে দারুণ বোলিং করা সাকিব বল হাতে কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি চেন্নাইয়ে। এমনকি ভারতের প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে এসেছেন অনেকটা দেরিতে, ৫৩তম ওভারে।
কেন সাকিবকে এত দেরিতে বোলিংয়ে আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের আঙুলে চোটের খবর জানিয়েছেন চেন্নাই টেস্টের ধারাভাষ্যকার ও ভারতের সাবেক স্পিনার মুরালি কার্তিক।
সাকিবের সঙ্গে কথা বলে মুরালি কার্তিক জানান, ‘তার (সাকিব) বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে সে বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না।’
এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। আগামী শুক্রবার কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আজ বুধবার গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলনেও সাকিবের চোটের বিষয়কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সাকিবের চোট নিয়েই প্রথম প্রশ্ন করা হয় হাথুরুকে। বাংলাদেশের হেড কোচ জবাবে বলেন, ‘সাকিবের চোটের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কিছু জানা নেই।’
চোট থাকলে কানপুর টেস্টে সাকিবের খেলার কথা নয়। যে কারণে সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন সাংবাদিকরা। যে কারণে হাথুরুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কানপুর টেস্টে সাকিব খেলবেন কিনা।
এ বিষয়ে হাথুরু বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় নেই। আমি ফিজিও বা অন্য কারো কাছ থেকেও তার ইনজুরি সংক্রান্ত কিছু শুনিনি। সে সিলেকশনের জন্য বিবেচনায় আছে।’
সাকিব চেন্নাইয়ে বল হাতে তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। ব্যাট হাতেও কিছু করতে পারেননি। টাইগার অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত কিনা-
এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, ‘তার পারফরম্যান্সে নয়, সবার পারফরম্যান্সেই হতাশ। আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আমি নিশ্চিত, সে নিজেও ভাবে যে আরো ভালো করতে পারতো। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছে। ইনিংস বড় করতে পারেনি। এমন নয় যে চেষ্টা করেনি। প্রতিপক্ষের বোলিংয়ের মান অনেক ভালো ছিল।’