
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক পরিবারের চারজনকে পাশাপাশি দাফন করা হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত দিলরুবা খাতুনের ভাই সাইফুল ইসলাম।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মরদেহগুলো কিছুক্ষণ আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে পাশাপাশি কবরে সমাহিত করা হবে। এরই মধ্যে কবর খোঁড়াসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই গ্রামে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু আর কখনো হয়নি। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মন থেকে দোয়া করি, মহান আল্লাহ তাদের বেহেশত নসিব করুন।’
এর আগে এদিন ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের বৈশাখী মোড়ে যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে বাস চাপা দিলে অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হন। এসময় আহত হন আরও দুজন।
নিহতরা হলেন একই উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামের কুলসুমা বেগম (৯৫), তার মেয়ে দিলরুবা খাতুন (৪০), দিলরুবার দুই মেয়ে রীতি আক্তার (১৪) ও প্রীতি আক্তার (৭)। গুরুতর আহত হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিলরুবার মেয়ে মাহি আক্তার (১৬) ও ভাতিজি শ্যামলী আক্তার (২০)।
নিহতদের মধ্যে প্রীতি প্রথম শ্রেণি ও রীতি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তাদের বোন মাহি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। মামাতো বোন শ্যামলী বিবাহিত।
স্থানীয়, নিহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোর পৌনে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের নাটক ঘরলেন এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ঈদ করতে অটোরিকশাযোগে গ্রামের বাড়ি জেলার গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বারচর গ্রামে যাচ্ছিলেন তারা। সাড়ে ৬টার দিকে গৌরীপুরের বৈশাখী মোড় পর্যন্ত আসতেই পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ছয়জন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মাহি ও শ্যামলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।