১৬ ওভার শেষেও খুলনা টাইগার্সের রান ছিল ৬ উইকেটে ১১০। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে ঢাকা ক্যাপিটালসের বোলারদের ওপর দিয়ে স্টিমরোলার চালিয়েছেন খুলনার টেল এন্ডাররা। শেষ ৪ ওভারে তাদের যোগ করা ৬৩ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে পৌঁছেছে খুলনা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা। উদ্বোধনী জুটিতে খুলনার দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং উইলিয়াম বসিস্টো মিলে ৪.৫ ওভারে ৪৯ রান তুলে ফেলেন। তবে উড়ন্ত শুরুর পর তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। চতুরঙ্গ ডি সিলভার পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম। সাজঘরের পথ ধরার আগে তার ব্যাটে আসে ৭ চারে ৩০ রান। নাঈমের ফেরার এক বল পরেই তিনে নামা আফিফ হোসেন (১) লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান।
এই দুই উইকেট হারানোর পর বড়সড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। ৪৯ থেকে ৯৩ রানে পৌঁছাতেই ৬ উইকেট খুইয়ে বসে তারা।
তবে শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জিয়াউর রহমান ও আবু হায়দার রনিদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সে বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় খুলনা। ১৭তম ওভারে আবু জায়েদকে জিয়াউর এক চার এবং এক ছক্কা ও অঙ্কন এক ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে খোলসমুক্ত করেন। পরের ওভারে মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করেন জিয়াউর।
আবু জায়েদের পরের ওভারে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান আসে অঙ্কনের ব্যাটে। ৮ বলে ৩ ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থেকে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার জানান দেন আবু হায়দার।
খুলনার রানের গতি রুখতে সাত বোলারকে ব্যবহার করেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। এই সাত বোলারের সবাই অন্তত একটি করে উইকেট পেয়েছেন। শুধু চতুরঙ্গ ডি সিলভা দুই উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। এরপরও অবশ্য খুলনাকে শেষ পর্যন্ত অল্প রানে আটকে রাখতে পারেনি রাজধানীর এই দল।