লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হাসবিয়াতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে তিনজন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। হামলার সময় নিজেদের বাসস্থানে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে হাসবিয়া শহরের ওই আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা হয়। এতে দুই ক্যামেরা পারসন এবং এক প্রকৌশলী নিহত হন।
হাসবিয়া থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। ইসরায়েল কোনো সতর্কসংকেত দেয়নি। হাসবিয়া এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার মতো কোনো নির্দেশনা ছিল না। এলাকাটি তুলনামূলক শান্ত ছিল।’
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ক্যামেরাপারসন ঘাসান নাজ্জার, প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেদা ও ক্যামেরাপারসন উইসাম কাসিম। তাঁদের মধ্যে নাজ্জার ও রেদা আল মায়াদিন টিভি চ্যানেলে কাজ করতেন। আর হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট আল মানার টিভি বলেছে, উইসাম কাসিম তাদের ক্যামেরাপারসন।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবেদকেরা বলেছেন, ওই ব্যক্তিরা যে বাংলোটিতে ঘুমাচ্ছিলেন সেটিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল জাদিদে প্রচারিত ফুটেজে বিধ্বস্ত ভবন এবং ‘প্রেস’ লেখা গাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নজিরবিহীন ঝুঁকিতে পড়ছেন সাংবাদিকেরা।
গ্লোবাল জার্নালিস্ট সিকিউরিটি নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক স্মিথ আল জাজিরাকে বলেন, গত বছর বিশ্বের অন্য যেকোনো সংঘাতের চেয়ে গাজায় চলমান যুদ্ধে আরও অনেক বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই স্থানীয় সাংবাদিক।
স্মিথ জোর কণ্ঠে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী যে সরাসরি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, তার প্রমাণ আছে। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় আরও অনেক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন।