রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের সময় বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর এবং শ্রমিক আহত হওয়ার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছেন যৌথ মালিক শ্রমিক নেতারা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের কারণে শহরের একমাত্র পরিবহন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার যানবাহনও। নৌযান চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
রাঙ্গামাটি সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমদের শ্রমিকদের কি অপরাধ ছিল। যানবাহনে কেন ক্ষতি করা হলো। দুই শ্রমিককে কুপিয়ে আহত করে বাকিদের নানাভাবে আহত করে, বাস ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে আমরা সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙ্গামাটিতে সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘট পালন করছি।
অন্যদিকে ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার আয়োজিত সমাবেশ থেকে ঘোষিত তিন পার্বত্য জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ।
রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, শহরের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সর্তক অবস্থায় রয়েছি।
গেল বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন।