
সাধারণত লিওনেল মেসি গোল করলে ইন্টার মিয়ামির জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু শনিবার রাতে ঘটেছে ব্যতিক্রম ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) মৌসুমের নিয়মিত খেলায় এই ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলবন্যায় ভেসে গেছে মেসির গোল।
এমএলএসে শনিবার নিজের পঞ্চম গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু মিয়ামিকে সবচেয়ে বড় পরাজয় থেকে রক্ষা করতে পারেননি। সেন্ট পলে মিনেসোটা ইউনাইটেডের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে মিয়ামি। মেসির দলে থাকা অবস্থায় এটি মিয়ামির সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড।
এই জয়ের ফলে মিনেসোটা (৬-২-৪, ২২ পয়েন্ট) টানা দুই ম্যাচে জয় পেল। যেখানে আগের ম্যাচে তারা অস্টিনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচের জয়হীন ধারা ভেঙেছিল।
শনিবার মিয়ামি খেলেছে তাদের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ছাড়াই। ব্যক্তিগত কারণে সেন্ট পলে যাননি উরুগুয়ে তারকা। উইঙ্গার ফাফা পিকল্ট ছিলেন অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত।
মিনেসোটা প্রথম গোল পায় ৩২ মিনিটে। বংগোকুলে হ্লংগওয়ানে তার মৌসুমের প্রথম গোল করেন। গত মৌসুমে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ১১ গোল করা হ্লংগওয়ানে কার্লোস হার্ভির পাসে ডিফেন্সের পেছনে দৌড়ে এক টাচে শট নিয়ে গোল করেন।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মার্কানিচ হেড দিয়ে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন। এটি ছিল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তার গোল এবং চার বছরের এমএলএস ক্যারিয়ারে তৃতীয়।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মিয়ামিকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্ট করেন মেসি। ৪৮ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। জর্দি আলবার ক্রস ধরে বাম দিক থেকে গোলরক্ষক ডেন সেন্ট ক্লেয়ারের হাতের বাইরে দিয়ে পোস্টের ভিতরে বল পাঠান মেসি।
৬৮ মিনিটে মার্সেলো ওয়েইগাডট আত্মঘাতী গোল করলে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে মিয়ামি।
৭০ মিনিটে আবারও গোল করে মিনেসোটা। তানি ওলুওয়াসেইয়ের পাসে রবিন লড এক টাচে শট নিয়ে মৌসুমের প্রথম ব্যক্তিগত গোল করেন এবং ম্যাচের স্কোরলাইন ৪-১ এ রূপাান্তর করেন।
এর আগে মিয়ামি নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ডালাসের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের হোম পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
মিয়ামি এবং মিনেসোটা ইউনাইটেড এর আগে কেবল একবার মুখোমুখি হয়েছিল, ২০২২ সালের জুনে। ওই ম্যাচে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল মিয়ামি। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নিলো মিনেসোটা।