
মালয়েশিয়ায় বাসায় বসেই কম্পিউটার ব্যবহার করে অনথিভুক্ত প্রবাসীদের জন্য ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করতেন এক বাংলাদেশি। গত ৬ মাস ধরে অবৈধ এই কাজ করে আসছিলেন তিনি। এভাবে আয় করেন ৫০ হাজার মালয় রিঙ্গিত (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ)। অবশেষে তাকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
বুধবার (১৪ মে) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে ওই বাংলাদেশির আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়ালালামপুরের জালান তুন তান স্টিউ সিন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। অভিযানকালে তাকে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করতেও দেখা যায়।
তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শুধুমাত্র বয়স ৩০ বছর বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর অভিবাসন বিভাগ জানায়, আটক বাংলাদেশি প্রতিটি জাল ওয়ার্ক পারমিটের জন্য জনপ্রতি ৫০ রিঙ্গিত করে নিতেন। তিনি নিজেই নথি তৈরি করতেন ও ছাপাতেন।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক আরও জানান, কুয়ালালামপুরের জালান মসজিদে আরেক অভিযানে অভিবাসন বিভাগ তিন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে। বৈধ অনুমতি ছাড়া বিপুল সংখ্যক বিদেশি পাসপোর্ট রাখার দায়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বয়স ৩৯ থেকে ৬৪ বছর বলে জানানো হয়েছে।
অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৫০৪টি বিদেশি পাসপোর্ট, চারটি কম্পিউটার, চারটি প্রিন্টার, ২৩টি সিআইডিবি কার্ড এবং বেশ কয়েকটি জাল ওয়ার্ক পারমিট, ৪০টি আই-কার্ড এবং নগদ ৯৪ হাজার ৩৩২ রিঙ্গিত জব্দ করেছে।
সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর উপধারা ৬(১)(গ) এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর উপধারা ১২(১)(চ)-এর অধীনে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পুত্রাজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জাকারিয়া আরও জানান, তাদের পক্ষ থেকে ১৯৬৩ সালের অভিবাসন আইনের ৪০এ ধারার অধীনে সাতজন স্থানীয় নাগরিককে পুত্রজায়ার অভিবাসন বিভাগের তদন্ত শাখায় হাজির হয়ে তদন্তে সহায়তার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।