মালয়েশিয়াজুড়ে চলছে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান। চলমান অভিযানে শত শত অভিবাসীকে আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
জানা গেছে, বহুদিন মালয়েশিয়ায় থাকার পরও যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, স্থানীয়দের অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মালয়েশিয়ার পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে।
২ সেপ্টেম্বর বেরিতা আরটিএম ও রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ১৯৬ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ১ হাজার ১৮ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। এ অভিযানগুলোতে মোট কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক ত্বহা বলেন, এই পরিসংখ্যানে এমন নিয়োগকর্তা জড়িত যারা অনুমতি ছাড়াই বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ ও সুরক্ষা দেয়।
ডিরেক্টর বলেন, নিয়োগকর্তা এবং বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অপারেশনগুলোতে মনোনিবেশ করবে যারা ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫), পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ (অ্যাক্ট ১৫০) এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং-এর অধীনে আইন লঙ্ঘন করে। ব্যক্তি এবং অভিবাসীদের চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ (অ্যাক্ট ৬৭০)।
তিনি বলেন, আমরা অনেক অভিযোগ পেয়েছি যে নিয়োগকর্তারা এজেন্টদের মাধ্যমে নথিপত্র পাচ্ছেন যাদের জিআইএম দ্বারা নিয়োগ করা হয়েছে। আসলে, আমরা এজেন্ট নিয়োগ করি না বা কোনো এজেন্টকে সহযোগিতা করি না।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সেলাঙ্গর রাজ্যের জালান কেবুনে ই-কমার্স বিক্রয়ের প্যাকেজিং সরবরাহের দুটি গুদামে অভিযান শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অভিযানে পরীক্ষা করা ৮৭ জনের মধ্যে মোট ৩৭ জন বিদেশির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭, ইন্দোনেশিয়া ৫, মিয়ানমার ১২, শ্রীলঙ্কা ১ এবং নেপালের ২ নাগরিক রয়েছেন। যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
নিয়োগকর্তারা যেন দেশের অভিবাসন আইন মেনে চলেন তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিভাগের চলমান প্রচেষ্টার অংশ এই অভিযান বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস) জাফরি এমবোক।