মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যটন ও সংস্কৃতি সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৪ দিনব্যাপী এ আয়োজনের।
এ আয়োজনে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছে ২০টিরও বেশি দেশ। মেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিচালিত বুথের মাধ্যমে বাংলাদেশের দর্শনীয় পর্যটন স্থান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং উল্লেখযোগ্য রপ্তানিপণ্য সম্পর্কিত তথ্য বিদেশি দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক চেম্বার ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই মেলা পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার পাশাপশি এই আয়োজনে অংশ নেওয়া ছয়টি দেশ তাদের দেশীয় সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী উপস্থাপন করবে। অক্টোবর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি দল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবশেনা তুলে ধরবে।
আন্তর্জাতিক পর্যটন ও সংস্কৃতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার পর্যটন ও সংস্কৃতি ডেপুটি মিনিস্টার খাইরুল ফেরদৌস আকবর খান। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যটন ও সংস্কৃতি প্রদর্শনী এবং সম্মেলনের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আফিক হাসান।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের বুথে ডেপুটি মিনিস্টারসহ অন্যান্যদের স্বাগত জানান মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর। তিনি এসময় উপস্থিত সবাইকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান সম্পর্কে এবং এসংক্রান্ত বই ও তথ্য প্রদান করেন।
পরিদর্শন শেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর উপস্থিত প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের পর্যটনস্থানসমূহকে পরিচিত করা সম্ভব হবে ।
উল্লেখ্য যে, গত দুই বছরে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতে উল্লেখযোগ্য উত্থানের পর, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ২০২৩ সালে, মালয়েশিয়ায় ২০.১ মিলিয়ন পর্যটক এসেছেন। যা থেকে এ খাতে ৭১.৩ বিলিয়ন রিঙ্গিত রাজস্ব আয় করেছে দেশটি। এই বছর, দেশটি ২৭.৩ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্য রেখেছে, পর্যটন রাজস্ব থেকে ১০২.৭ বিলিয়ন রিঙ্গিত আয়ের আশা করছে দেশটি।