মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, কাজী এনায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী ওরফে সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক ওরফে রাজা, পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম, যুবলীগের কর্মী ইরাদ কোরাইশী ওরফে ইমন, জুয়েল ভুঁইয়া ও মো. সানি এবং পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুলাই সকালে আসামিরা পিস্তল, শটগান, একে-৪৭ এবং রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ খালপাড় মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালপাড় মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে বিএনপির কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন আজাদ হোসেন। এসময় খালমোড় এলাকায় আসামি কাজী এনায়েত হোসেনের নির্দেশে সিফাত কোরাইশী, জুয়েল ও ইমন বাদীর গতিরোধ করেন। এসময় অন্যান্য আসামিদের মদদে সিফাত কোরাইশী তার হাতে থাকা শটগান দিয়ে আজাদ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে কাঠের বাটাম দিয়ে আজাদ হোসেনকে এলোপাথাড়ি পেটান।
পুলিশ কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।