
মাঝেমধ্যে যেন ডুব দেন চঞ্চল চৌধুরী। হঠাৎ তাকে দেখা যায়, আবার হঠাৎ চলে যান অন্তরালে। সে রকম গত কয়েক মাস দেখা যায়নি তাকে। বিনোদন অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, দেশ ছেড়ে কি তবে চলেই গেলেন অভিনেতা? সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জানালেন, কেন মাঝেমধ্যে অন্তরালে চলে যান তিনি।
গতকাল বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন চঞ্চল চৌধুরী। সেখানে দুটি চরিত্রের জন্য দুটি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। একটি ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি’ ছবির জন্য ও ‘তুফান’ ছবির চরিত্রের জন্য। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর এ রকম একটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এলাম। পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে।’
যে কোনো পুরস্কারই কি তাকে উৎসাহ দেয়? এমন প্রশ্নে চঞ্চল বলেন, ‘আমার কাছে পুরস্কারের ছোট-বড় নাই। সব পুরস্কার সমান আমার কাছে। সবচেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের ভালোবাসা। যখন পুরস্কার পাই, তখন মনে হয় দায়িত্ব বেড়ে গেল। পুরস্কার পাওয়া মানেই শিল্পীর দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া।’
প্রতিনিয়ত নতুন সব চরিত্রে দেখা যায় চঞ্চল চৌধুরীকে। সেসব চরিত্র ধারণ করার জন্য মাঝেমধ্যে ডুব দিতে হয় অভিনেতাকে। তিনি বলেন, ‘আমি তো দর্শকের জন্য কাজ করি। আমৃত্যু কাজটাই করে যেতে চাই।’
নিজের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘আমার শেষ সিনেমা ছিল “তুফান”। মেইন ক্যারেক্টার ছিল আমার ব্রাদার শাকিব খানের, আমি ছোট একটা ক্যারেক্টারে অভিনয় করেছিলাম। আমি সব সময় ডিফরেন্ট সব ক্যারেক্টারে অভিনয় করতে চাই। একজন শিল্পীর দায়িত্ব দর্শকের সামনে নতুন নতুন চরিত্রে হাজির হওয়া। তা না হলে কেন দেখবেন আমাকে? এ জন্য মাঝেমধ্যে গ্যাপ নিই, নতুন চরিত্রের জন্য, তারপর যদি মনে হয় এই চরিত্র দর্শক গ্রহণ করতে পারেন, তাহলেই ওই চরিত্রে অভিনয় করি।’
সম্প্রতি ব্যতিক্রম আরেক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে চঞ্চলকে। ‘উৎসব’ নামে সিনেমাটি পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে ওটিটিতে। তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমায় ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল।