
ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব গম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে নিহত সব শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনার পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সব শহীদ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগণকে, যাদের অসামান্য অবদান আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি লাল-সবুজ পতাকা।
২৫ মার্চ গণহত্যায় হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে রাষ্ট্রদূত রহমান বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের দ্বারা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাতে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের নৃশংস ও নারকীয় গণহত্যাগুলোর অন্যতম। তিনি ভবিষ্যতে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বিশ্বে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এই গণহত্যাকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।