
বন্যায় বিপর্যস্ত কেন্টাকি, মিসিসিপিসহ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল। গেল তিন দিনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। ধসে গেছে সেতু, ডুবে গেছে শত শত বাড়ি।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে সামাজিক মাধ্যমে লুইভিল মেট্রো পুলিশের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। ওয়াটারফ্রন্ট পার্ক, বিগ ফোর ব্রিজ, এমনকি লিন ফ্যামিলি স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ কিছুই বাদ যায়নি। একতলা ভবন, পার্কিং লট আর ইন্টারসেকশন সব তলিয়ে গেছে নদীর পানিতে।
এছাড়াও মিসিসিপি, কেন্টাকি, টেনেসি, আরকানসাস ও মিজৌরিসহ একাধিক অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে এখন আগের তুলনায় ভারি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় জলবায়ু সংস্থা। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ওহাইও রিভার ভ্যালি ও মিডওয়েস্ট অঞ্চলে।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার জানিয়েছেন, বন্যার পানি কমতে থাকলেও এখনও অনেক এলাকা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। কিছু জায়গায় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে। জলাবদ্ধ এলাকায় কেউ যেন গাড়ি নিয়ে ঢুকে না পড়েন সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। কেন্টাকির রাজধানী ফ্রাঙ্কফোর্টে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা ও মিসিসিপিতেও পাওয়া গেছে বন্যা বা ঝড় সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর খবর। বেন্টন, হিকোরির মতো শহরে ১৫ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কিছু এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, চলছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা।
এদিকে বন্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝড় ও টর্নেডোর তাণ্ডবও। ব্লু স্প্রিংস, মিসিসিপিতে টর্নেডো হয়েছে। জ্যাসপার কাউন্টিতে টর্নেডোয় উড়ে গিয়ে ধ্বংস হয়েছে ভ্রাম্যমান বাড়ি। যেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।